সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মনোহরপুর ঋষিপাড়া পর্যন্ত রাস্তাটি যেন মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছে। পথচারী ও যানবাহন চলাচলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত সংস্কার না হওয়ায় এই রাস্তাটি খানাখন্দকে পরিনত হয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই রাস্তাটি চলা চলের এতটাই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে প্রতিদিন কোনা না কোন স্থানে ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা। স্থানীয়রা জানান এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। পথচারী কাজিডাঙ্গা গ্রামের গফফার মোড়ল,ভবানীপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম, প্রশান্ত ব্যানার্জী, আতাউর রহমান বলেন, আমাদের এই এলাকাটি বন্যা কবলিত এলাকা ঘোনা, নারানপুর, কাজিডাঙ্গা, ভবানীপুর, খরাইল, বারাত গ্রামের রাস্তার উপরে প্রতিবছর ১ থেকে ২ ফুট পানি জমে থাকে যে কারণে রাস্তাটি এই খানাখন্দকে পরিণত হয়েছে।এই রাস্তাটি সংস্কার হওয়া খুবই প্রয়োজন।
পথচারী ঘোনা গ্রামের হযরত সরদার বলেন, সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব সাহেবের আমলে এই রাস্তাটি প্রথমে নির্মাণ করা হয়। তারপর বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ১৭ বছর বছর পর্যন্ত কোন সংস্কার হয়নি। তাই দ্রুত এই রাস্তাটি সংস্কার করা প্রয়োজন। রাস্তাটি একটি জনবহুল রাস্তা হলেও দায়িত্বে যারা আছেন এই রাস্তাটি কারোর কখনো চোখে পড়েনি। এলাকাবাসী আরও বলেন ৫ বছর এমপি ইঞ্জিনিয়ার মুজিবুর রহমান ১০ বছর এমপি এ্যাডঃ মোস্তফা লুৎফুল্লাহ তালা-কলারোয়া ১ আসনের এমপি ছিলেন কখনো আমাদের খোজ খবর রখেনি কখনো দেখেনি আমরা কেমন আছি। আমাদের রাস্তাঘাট আছে কি নেই তার কোন প্রকার খোঁজ খবর রাখেনি।
তালা থেকে এই রাস্তা দিয়ে পাটকেলঘাটা যাওয়া অতি সহজ হওয়ার কারণে এই রাস্তাটি সব সময় বহু মানুষ চলাচল করে। এই রাস্তাটির ব্যাপারে ইসলামকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম ফারুকের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলে, আমি এই রাস্তাটি নিয়ে বহু জায়গায় কথা বলেছি আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে রাস্তাটির কথা তুলে ধরলে আমাদের কাজ করা সহজ হবে। এলাকাবাসীর দাবি এই রাস্তাটির দ্রুত সংস্কার করা হোক।
এই রাস্তাটির বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী রথীন্দ্রনাথ হালদার এই প্রতিবেদককে জানান, আমি দেখেছি এই রাস্তাটি আসলেই সংস্কার করা খুবই প্রয়োজন, উদ্ধর্তন কর্মকর্তাকে বলে রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করার ব্যবস্থা করবো।