তালায় খলিলনগর ইউনিয়নের পাঁচরাস্তা মোড় হইতে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম আব্দুল আলী সাহেব এর বাড়ি অভিমুখী মাছিয়াড়া মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের এর বাড়ির মোড় হইতে মো. একব্বর পাড়ের বাড়ি পর্যন্ত ১/২ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা ২০/২৫ বৎসর যাবৎ মাটি দিয়ে উচু না করায় বৃষ্টি হলেই পানিতে ডুবে যায়। পানি নিষ্কাষনের জন্য খানাটি ভরাট করে দোকানঘর তৈরী করেছে আজমির শেখ নামে এক ব্যক্তি। দোকানঘর তৈরী কালে খানার মধ্যে ছোট্ট একটি সিমেন্টের পাইপ দেয় যা দিয়ে পানি নিষ্কাষন হচ্ছে না। ফলে চারিদিকে পানি আর পানি থৈথৈ করছে। তালা উপজেলায় ১১ ইউনিয়নে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা যে পরিমান তারচেয়ে একশতগুন বেশী রোগী খলিলনগর ইউনিয়নে। বেশীরোগী হরিশচন্দ্রকাটি গংগারাপুরসহ অন্যান্য গ্রামে। এরমধ্যে প্রসাদপুর সন্নিকটে পশ্চিম মাছিয়াড়া এলাকায় পরিকল্পিত ভাবে জলবদ্ধতার তৈরির কারনে ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা রয়েছে। চলাচলের রাস্তা, ফসলি জমি, কাঁচাঘরবাড়ি, পানিতে ডুবে রয়েছে। জনগন চলাচলে চরম ভোগান্তির স্বিকার হচ্ছে। পানিজমে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানিবন্ধি পরিবার মো. একব্বর পাড়, আনছার পাড়, সাহিন গাজী, ওমরগাজী, ইউনুস গাজী জুলুগাজী, জাহাঙ্গির গাজী, মিঠু শেখসহ বিশ ত্রিশ টি বাড়ি পানিবন্ধী অবস্থায় রয়েছে। একটি শিশু রাস্তার মধ্যস্থান দিয়ে পানির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। জ্বর সর্দি কাশিসহ মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুকিতে রয়েছে এলাকার শিশু বৃদ্ধসহ সকল শেনীর মানুষ। মো. কুদ্দুস বিশ্বাস জানান, পানি নিষ্কাশনের খানাটি ভরাট করে দোকানঘর নির্মাণ করেছে মো. আজমির হোসেন শেখ। খানার মধ্যে ছোট্ট একটি সিমেন্ট পাইপ দেয় যা দিয়ে পানি নিষ্কাষন হচ্ছে না। ফলে পানি বন্ধি হয়ে রয়েছে প্রায় অর্ধশত পরিবার। তাছাড়া সরকারি এই রাস্তাটিতে মাটিদিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ উচু না করায় রাস্তাটি অনেক নিচু মাটিদিয়ে উচু করলে এতটা তলাত না। এক্ষনে পানি নিষ্কাষনের ব্যাবস্থা না নিলে ডেঙ্গু মহামারি আকার ধারন করার আশংকা রয়েছে। ডেঙ্গুর হাতথেকে রক্ষা সহ পানিবন্ধি মানুষের রক্ষার্থে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসি।