আশাশুনিতে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে নার্সারিগুলোতে ফলদ, বনজ, ফুল,ঔষধিসহ বিভিন্ন ধরনের চারা বিক্রি শুরু হয়েছে। এসব নার্সারি থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে চারা গাছ বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া স্থানীয় অনেকেই নার্সারি থেকে চারা ক্রয় করে ভ্যান গাড়ি যোগে গ্রামগঞ্জের বাজারগুলোতে ফেরি করে বিক্রি করেন। জানা যায়, বনাঞ্চল অধ্যুষিত ও মাটি উর্বর থাকায় আশাশুনি উপজেলায় ছোট বড় মিলিয়ে বেশ কয়েকটি টি নার্সারি গড়ে উঠেছে। যদিও কৃষি অফিস থেকে সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জানা যায়নি। এসবের মধ্যে বেশিরভাগ নার্সারি রাস্তার পাশে এবং বাড়ির আঙ্গিনায়। এসব নার্সারি করে তাদের মধ্যে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। অল্প পুঁজিতে বেশি লাভ হওয়ায় এলাকার তরুণ ও যুবকেরা এ ব্যবসায় ঝুঁকেছেন। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে চারা গাছ বিক্রি করা হয়।সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বুধহাটা প্রাইমারী স্কুল রোড, জোড়দিয়া,কানাবুড়ির মোড় এলাকার সড়কের পাশে বেশ কিছু নার্সারি রয়েছে। নার্সারিগুলো এখন চারা গাছে ভরপুর। এসব নার্সারিতে দেশি জাতের চারা গাছ উৎপাদনের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে বিদেশি প্রজাতির গাছের চারা বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয় বাজারে চারা গাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আগাম বৃষ্টিপাত হওয়ায় হঠাৎ করে চারা গাছ বিক্রি বেড়ে যাওয়ার নার্সারি মালিকেরা আনন্দিত। খরিয়াটি থেকে চারা গাছ নিতে আসা গোবিন্দ বলেন, এই উপজেলার নার্সারিগুলো পরিচিত। ফলদ, বনজ ও ফুল গাছের ৫০ চারা ক্রয় করেছি। বৃষ্টি পড়ার সাথে সাথে চারা গাছ কিনতে চলে আসলাম, পরে আসলে চাহিদা অনুযায়ী চারা পাবো না। বুধহাটার আবু সাইদ নার্সারী থেকে চারা গাছ ক্রয় করতে আসা মন্টু মিয়া বলেন, আগাম বৃষ্টি হওয়ায় খুচরা ক্রেতাদের মাঝে চারা গাছ কেনার চাহিদা বেড়েছে। আজ গাছ ক্রয় করেছি। এগুলো ভ্যানের মাধ্যমে বিভিন্ন বাজারে বিক্রির জন্য পাঠাবো। নার্সারি ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হওয়া আবু সাইদ বলেন, আমরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চারা গাছ সংগ্রহ করি, আবার সারা দেশে বিক্রিও করি। বৈশাখের প্রথম বৃষ্টির পর চারা বিক্রি শুরু হলেও এবার আগাম বৃষ্টি হওয়ায় এখন থেকেই চারা গাছ বিক্রি হচ্ছে। করোনাকালীন থেকে আগের চেয়ে গাছের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। নার্সারি ব্যাবসায় স্বল্প পুঁজিতে সঠিক নিয়মে পরিশ্রম করলে দ্রুত সময়ে লাভবান হওয়া যায়। আমরা কৃষি বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নার্সারিতে কাজ করছি। আশাশুনি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা উপজেলা কৃষিবিদ এস এম এনামুল ইসলাম বলেন, এ উপজেলায় ছোট বড় অনেক নার্সারি আছে। এখানকার মাটি ভালো থাকায় নার্সারি ব্যবসায় লাভজনক। কৃষি অফিস থেকে তাদেরকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হয়।