ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে আরও দুটি মামলা হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রাজধানীর মিরপুরে দুজনকে হত্যার অভিযোগে মামলা দুটি করা হয়। এ নিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ১৭টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬টি খুনের মামলা এবং একটি অপহরণ মামলা।
আজ সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান খুনের পৃথক দুটি অভিযোগ এজাহার হিসেবে রেকর্ড করতে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী আবু আবদুল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ৪ আগস্ট দুপুরে মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে নবম শ্রেণির ছাত্র লিটন হাসানকে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৪৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর বড় ভাই মো. মিলন।
বাদীর আইনজীবী ইলতুৎমিশ সওদাগর বলেন, ৪ আগস্ট মিরপুর গোলচত্বরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল নবম শ্রেণির ছাত্র লিটন হাসান। এ সময় তাকে গুলি করা হয়। পরদিন আগারগাঁও নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে সে মারা যায়।
মামলায় বলা হয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ অন্যদের নির্দেশে আসামিদের কাছে থাকা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ মিছিলে গুলি চালানো হয়।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামির মধ্যে রয়েছেন পুলিশের সাবেক আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন, সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, কামাল আহমেদ মজুমদার, ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ১৪৮ জন।