ব্যক্তিগত জীবনে অনেকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন টালিউড অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। এ তালিকায় অন্যতম নাম হলো— সৃজিত মুখার্জি। বহু বছর আগে এ জুটির সম্পর্ক ভেঙেছে। সৃজিত বাংলাদেশের মডেল-অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশীদ মিথিলার সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন। এবার প্রাক্তনকে পেয়ে একে অপরকে জড়িয়ে ধরলেন সৃজিত-স্বস্তিকা। স্বস্তিকা মুখার্জি তার ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যায়, পরস্পরকে দেখে কয়েক সেকেন্ড থমকে যান সৃজিত-স্বস্তিকা। এরপর পরস্পরকে জড়িয়ে ধরেন তারা। দু’জনেই রং মিলিয়ে পোশাক পরেছেন। স্বস্তিকার পরনে খাদি শাড়ি। কালো সুতার কাজ করা খাদি শাড়ির সঙ্গে একই রঙের হাতকাটা ব্লাউজ পরেছেন। আর খোঁপায় বাঁধা জুঁই। অন্যদিকে লাল সুতার কাজ করা পাঞ্জাবি ও সাদা ধুতিতে দেখা যায় সৃজিতকে। তবে রং মিলিয়ে পোশাক পরার বিষয় পুরোটাই অপরিকল্পিত বলে জানিয়েছেন স্বস্তিকা।
হিন্দুস্তান টাইমসের তথ্য অনুসারে, সৃজিত নির্মিত ‘অতি উত্তম’ সিনেমার সাকসেস পার্টির আয়োজন করেছিলেন এই নির্মাতা। তাতে নিমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে হাজির হন স্বস্তিকা। আর এই পার্টিতে বিশেষভাবে নজর কাড়েন এই প্রাক্তন প্রেমিক যুগল। সৃজিতের পরবর্তী সিনেমা ‘টেক্কা’। দেব-রুক্মিণীর পাশাপাশি সিনেমাটিতে দেখা যাবে স্বস্তিকা মুখার্জিকে। ‘শাহজাহান রিজেন্সির’ পর ‘টেক্কা’ দিয়ে ফের একসঙ্গে হয়েছেন সৃজিত-স্বস্তিকা। প্রাক্তন সৃজিতের সিনেমায় অভিনয় করা প্রসঙ্গ নিয়ে সংবাদমাধ্যমটিকে বক্তব্য দিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। স্বস্তিকার ভাষায়, ‘আমাদের বন্ধু-বান্ধবরা আলোচনা করি, বিয়ের পাঁচ বছর পর স্বামী-স্ত্রী ভাইবোন হয়ে যায়। সৃজিত আমার প্রাক্তন ছিল ১০ বছর আগে। তাহলে এতদিনে আমরা কী হতে পারি? স্বামী-স্ত্রী যেখানে ভাইবোন হয়ে যায়। ১০ বছর আগের সম্পর্ককে প্রাক্তন তো বলা যায় না।’
‘আমার সঙ্গে সৃজিতের খুবই সখ্যতা রয়েছে। ইভেন্টে যাই, কথাবার্তা হয়। হতে পারে ২০২৪ সালে সৃজিতের সঙ্গে আরকেটা সিনেমা করলাম। ১০ বছরে মানুষ মারা গেলে তাদের আরেক জন্ম হয়ে যায়। প্রাক্তন শব্দটা তো মাথায় বা মনে আসার মতো জায়গাটাই আর নেই।’ বলেন স্বস্তিকা মুখার্জি। সৃজিত মুখার্জি ২০১৩ সালে ‘মিশর রহস্য’ ও ২০১৪ সালে ‘জাতিস্মর’ সিনেমা নির্মাণ করেন। এতে অভিনয় করেন স্বস্তিকা মুখার্জি। সিনেমা নির্মাণ করতে গিয়ে এই অভিনেত্রীর প্রেমে পড়েন সৃজিত। তখন পরমব্রত চ্যাটার্জির সঙ্গে মাত্র প্রেমের সম্পর্কের বিচ্ছেদ হয়েছে এই নায়িকার। এমন বিরহের দিনে প্রেমের পেয়ালা হাতে স্বস্তিকার পানে এগিয়ে যান সৃজিত মুখার্জি। যদিও তাতে দু’জনের কেউই স্বস্তি পাননি। কারণ এই প্রেম বেশিদিন টেকেনি।