৪১তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। সেখানে ২৫২০ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) পিএসসির ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সরকারি কর্ম কমিশন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে ৪১ তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের জন্য পিএসসি পূর্ণ কমিশনের সভা ডাকা হয়। এতে পিএসসি চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন সভাপতিত্ব করেন। সভায় ৪১তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল অনুমোদন দেওয়া হয়। এদিকে ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে শিক্ষা ক্যাডারে। এই ক্যাডারে ৯১৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে বিসিএস শিক্ষাতে প্রভাষক ৯০৫ জন, কারিগরি শিক্ষা বিভাগে প্রভাষক ১০ জন নেওয়া হবে। শিক্ষার পরে বেশি নিয়োগ হবে প্রশাসন ক্যাডারে। প্রশাসনে ৩২৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। পুলিশে ১০০, বিসিএস স্বাস্থ্যতে সহকারী সার্জন ১১০ জন ও সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ৩০ জনকে নেওয়া হবে।
এছাড়া পররাষ্ট্রে ২৫ জন, আনসারে ২৩ জন, অর্থ মন্ত্রণালয়ে সহকারী মহা-হিসাবরক্ষক (নিরীক্ষা ও হিসাব) ২৫ জন, সহকারী কর কমিশনার (কর) ৬০ জন, সহকারী কমিশনার (শুল্ক ও আবগারি) ২৩ জন ও সহকারী নিবন্ধক ৮ জন নেওয়া হবে।পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ১২ জন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ে সহকারী যন্ত্র প্রকৌশলী ৪ জন, সহকারী ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট ১ জন, সহকারী সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ১ জন, সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) ২০ জন, সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) ৩ জন নেওয়া হবে। তথ্য মন্ত্রণালয়ে সহকারী পরিচালক বা তথ্য কর্মকর্তা বা গবেষণা কর্মকর্তা ২২ জন, সহকারী পরিচালক (অনুষ্ঠান) ১১ জন, সহকারী বার্তা নিয়ন্ত্রক ৫ জন, সহকারী বেতার প্রকৌশলী ৯ জন, স্থানীয় সরকার বিভাগে সহকারী প্রকৌশলী ৩৬ জন ও সহকারী বন সংরক্ষক ২০ জন।
সহকারী পোস্ট মাস্টার জেনারেল পদে ২ জন, বিসিএস মৎস্যতে ১৫ জন, পশুসম্পদে ৭৬ জন, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ১৮৩ জন ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ৬ জন, বিসিএস বাণিজ্যে সহকারী নিয়ন্ত্রক ৪ জন। পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ৪ জন, বিসিএস খাদ্যে সহকারী খাদ্যনিয়ন্ত্রক ৬ জন ও সহকারী রক্ষণ প্রকৌশলী ২ জন, বিসিএস গণপূর্তে সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) ৩৬ জন ও সহকারী প্রকৌশলী (ই/এম) ১৫ জনসহ মোট ২ হাজার ১৩৫ জন কর্মকর্তাকে এই বিসিএসে নিয়োগ দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল পিএসসি। এতে চার লাখের বেশি প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ২১ হাজার ৫৬ জন। লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রার্থীদের ১৫ হাজার খাতায় ২০ শতাংশ নম্বরের গরমিল পাওয়ায় ফল প্রকাশে কিছুটা বিলম্ব হয়। গরমিল হওয়া খাতাগুলো তৃতীয় পরীক্ষকের মাধ্যমে মূল্যায়ন শেষে ভাইভা শুরু হয়। সকল প্রক্রিয়া শেষে আজ চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়।