বৃহস্পতিবার থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। গতকাল বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে এ বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার ও শনিবার বিচ্ছিন্নভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। এদিকে আগামী মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের সৃষ্টি হতে পারে। সেই লঘুচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার আশঙ্কা আছে। এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে ‘ডানা’। তবে সেটি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানবে কিনা, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক গতকাল সকালে বলেন, ‘মঙ্গলবার থেকে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এ লঘুচাপ থেকে নিম্নচাপ এমনকি ঘূর্ণিঝড়ও হতে পারে।’ সাগরে ঘূর্ণিঝড় হলে এর লক্ষ্যস্থল কি বাংলাদেশের উপকূল? এর জবাবে ওমর ফারুক বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এর যে গতিপ্রকৃতি, তাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বা ওডিশার দিকেই এটি আঘাত হানতে পারে। তবে নিশ্চিত করে এখনই বলা যায় না। বাংলাদেশের উপকূলে আসার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেয়া যায় না।’
এদিকে কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, ২১ থেকে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির শঙ্কার আভাস দিয়েছে আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বেশির ভাগ আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল। সম্ভাব্য এ ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে ‘ডানা’। এ নাম মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার দিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ডানা ২৪ থেকে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে উপকূলে আঘাত করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মোস্তফা কামাল পলাশ আরো জানান, গত বৃহস্পতিবার আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির সৃষ্টি হওয়া নিয়ে অনেকটা নিশ্চিত হওয়া গেলেও কোন স্থানের উপকূলে আঘাত করবে সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় ডানা কোন উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করবে তা জানার জন্য কমপক্ষে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল বলছে, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগ ও ভারতের ওডিশা রাজ্যের মধ্যবর্তী যেকোনো উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করতে পারে।