• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন
                               
শিরোনাম:

উপজেলা ঝড়ে লন্ডভন্ড আওয়ামী লীগ

রিপোর্টার: / ৯১ বার ভিজিট
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০২৪

তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন শেষ হয়েছে গতকাল। তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে দৃশ্যত আওয়ামী লীগের জয়জয়কার। স্বতন্ত্র হিসেবে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতারা এই নির্বাচনে বিপুলভাবে বিজয়ী হয়েছে। আগের দুই দফা নির্বাচনের মতো এই নির্বাচনেও ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। যদিও নির্বাচন কমিশন এবং আওয়ামী লীগ উভয়েই এক ধরনের আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের পরও ভোট হার খারাপ নয়। নির্বাচন কমিশন একই রকম অভিমত ব্যক্ত করেছে। তবে ভোটার উপস্থিতি কম বেশি সেটা বড় বিষয় নয়। উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগকে রীতিমতো লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে। উপজেলা নির্বাচনের কারণে আওয়ামী লীগের শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। চেইন কমান্ড নষ্ট হয়েছে এবং দলীয় অনুশাসন লঙ্ঘিত হয়েছে। ভবিষ্যতে এই শৃঙ্খলা ফেরানো এবং লণ্ডভণ্ড আওয়ামী লীগকে সাজানো একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ওবায়দুল কাদেরের বাসভবনের সামনে অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন তার এক ভাই শাহাদাত এবং অন্যান্য প্রার্থীরা। তাদের দাবি, ওবায়দুল কাদেরের আরেক ভাই কাদের মির্জা তার প্রভাব খাটিয়ে তার নিজস্ব প্রার্থীকে জয়ী করার জন্য নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করেছেন। কিন্তু এই কারণে ওই নির্বাচনী এলাকার ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়নি। কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের খবর জানা যায়নি। ওবায়দুল কাদেরের দুই ভাইয়ের এই বিরোধের ফলে নোয়াখালীর রাজনীতিতে একটি জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

এর আগে ওবায়দুল কাদেরের প্রার্থী অধ্যক্ষ সেলিমকে পরাজিত করে একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে শাবাব চৌধুরী বিজয়ী হয়েছিল। এবার এই নির্বাচনে ওবায়দুল কাদেরের আরেক ভাই কাদের মির্জার সমর্থনে প্রার্থী হওয়া ভাইকে পরাজিত করলেন। অর্থাৎ দলের ভেতরে একটা জগাখিচুড়ি, বিশৃঙ্খল অবস্থার ইঙ্গিত বহন করে নোয়াখালীর এই ঘটনা।

শুধু নোয়াখালী নয়, সারা বাংলাদেশে উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ ছিল এবং এ সমস্ত নির্বাচন গুলোর আগে এবং পরে অনেক জায়গায় আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। গোপালগঞ্জ তার বড় উদাহরণ। সেখানে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিমের মনোনীত প্রার্থীকে হারিয়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক সহকারী একান্ত সচিব গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর প্রার্থী। এখানেই ঘটনার শেষ হতে পারতো, কিন্তু তা হয়নি। নির্বাচনের পর নিকুর পক্ষের লোকজন শেখ সেলিমের পক্ষের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। সহিংসতার ঘটনা ঘটে এবং সেখানে একজন মারাও যান। এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়েছেন বলে জানা যায় এবং এই ক্ষোভের কারণে শেষ পর্যন্ত গাজী হাফিজুর রহমান লিকু সহকারী একান্ত সচিবের পদ হারিয়েছেন বলে কেউ কেউ মনে করেন।

শুধুমাত্র যে গোপালগঞ্জে ঘটেছে এমনটি নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে একই রকম ঘটনা ঘটছে। আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলছেন, গোপালগঞ্জ হল আওয়ামী লীগের আতুর ঘর। সেখানে যদি এরকম ঘটনা ঘটে তাহলে সারা দেশের অবস্থান কি তা সহজেই অনুমেয়। তিন ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থীদের মনোনীতি মাইম্যান প্রার্থীরা ধরাশায়ী হয়েছে। অনেকে জায়গায় আওয়ামী লীগের মধ্যে বিরোধ সহিংস পর্যায় গেছে। সব কিছু মিলিয়ে আওয়ামী লীগের যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে তা সারানো এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

add 1


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

আজকের দিন-তারিখ

  • সোমবার (রাত ৪:৪১)
  • ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
  • ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (শীতকাল)

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  

Our Website Visitors Summary

  • ৩৫৮
  • ৪৫
  • ৪০৪
  • ১,৬৩৫
  • ১৮,৮৪৯
  • ২৭,৭৪০
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com